রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

পিছিয়ে পড়েও ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন

পিছিয়ে পড়েও ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন

পিছিয়ে পড়েও ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি উইমেন্স টুর্নামেন্টের ইয়ুথ বিভাগে (অনূর্ধ্ব-১৭) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ বুধবার শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভারতকে ৪৬-৪৩ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছে স্বাগতিকরা। খেলার প্রথমার্ধ শেষে ২০-২০ গোলে সমতা ছিল। বাংলাদেশ-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে নাটকীয় মোড় নিয়েছিল বেশ কয়েকবার। দুদলের তীব্র লড়াইয়ে একবার ভারত এগিয়ে যায় তো, গোল করে আবারও সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ১ ঘণ্টার এই ম্যাচে প্রথমার্ধের ২০ মিনিটের সময় ১৬-১০ গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের লড়াইটা ছিল আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা। খেলার ৪৪ মিনিটে লাল কার্ডের শাস্তিতে ম্যাট ছাড়েন ভারতের প্রাধান্য বালাসো মানে। তখন ৬ জনের দলে পরিণত হয় ভারত। বাংলাদেশের খেলোয়াড় ছিল ৭ জন। ওই সময়ও ম্যাচে সফরকারীরা এগিয়ে ছিল ৩৩-২৮ গোলে।

খেলার ৫০ মিনিটে গিয়ে ভারতকে একেবারে চেপে ধরে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ সময় গোলের পর গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনে স্বাগতিকরা। ৫৫ মিনিটে গিয়ে টানা তিন হলুদ কার্ড দেখে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশের টপ স্কোরার অধিনায়ক মারফি। তখনও ম্যাচে পিছিয়ে বাংলাদেশ। একটা সময় মনে হয়েছিল লিগ পর্বের মতো ফাইনালেও ভারতের কাছে হারতে যাচ্ছে ডালিয়ার দল। কিন্তু মারফির অনুপস্থিতিও বুঝতে দেননি রুনা লায়লারা। ম্যাচ জিতেই উল্লাস করেছে। ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেন মারফি। এছাড়া রুনা ১৪, তানিয়া ১০, দ্বীপা রানী ৫, অন্য দুটি গোল ভাগাভাগি করেন ফাতেমা প্রেমা ও সানিয়া আক্তার। ভারতের পক্ষে রেনুকা সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেন। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের কোচ ডালিয়া আক্তার বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি বলেছিলাম চমক দেখাবে আমার দল। সেটাই করে দেখিয়েছে তারা। মেয়েদের এমন পারফরম্যান্সে আমি অনেক খুশি। আমি আমার খেলোয়াড়ি জীবনে কখনও ভারতকে হারাতে পারিনি। কিন্তু প্রথমবার কোচ হয়ে সেই অর্জনে নাম লেখাতে পেরেছি। ভারতকে যে কোনও খেলায় হারানো কঠিন। হ্যান্ডবলে তো আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজ আমার মেয়েরা করে দেখিয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |